শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
দরিদ্রদের ইফতারে মিলছে না লেবুর শরবত

দরিদ্রদের ইফতারে মিলছে না লেবুর শরবত

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা
রোজাদার মানুষেরা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে ইফতারীর সময় লেবুর শরবত পানসহ অন্যান্য মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকেন। এক গ্লাস লেবুর শরবত পানে তাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই লেবু যেন ক্রয় ¶মতার বাইরে চলে গেছে। বর্তমানে এক হালি লেবু ২৫ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রমজান মাসে লেবুর দাম বেড়েছে তিনগুণ। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক রোজাদার ব্যক্তি। গতকাল গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লেবুর আকাশচুম্বি দাম। মানভেদে হাইব্রিড জাতের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৫০ টাকা দামে।

রোজায় লেবুর শরবত অনেকের কাছে প্রিয় হলেও সেটি দামের কারণে অপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। স্থানীয় ভোক্তারা জানায়, রমজান মাসে গাইবান্ধায় নানা ধরণের নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেবুর দামও। রোজার শুরু থেকে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিপিস হাইব্রিড লেবু ৬ টাকা থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোজার আগে এই লেবুর প্রতিপিস দাম ছিল ২-৩ টাকা। বাজারে আসা মুহাম্মদ আলী সরকার নামের এক এক রিকশা চালক জানান, ইফতারীর সময় লেবুর শরবত পান করতে তিনি এক হালি লেবু কিনেছেন ৪৫ টাকা দিয়ে। আবার এসব লেবুর রসও কম। অথচ কিছুদিন আগে একই সাইজের লেবু ১৫ টাকা হালিতে কিনেছিলেন। তাই এখন থেকে লেবুর শরবতের বদলে খাবার স্যালাইন অথবা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি লবন-চিনি মিশিয়ে পান করবেন বলে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন তিনি। ইউসুফ আলী প্রধান নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, রোজায় লেবুর পাশাপাশি বেগুন-শসা ও ফলের চাহিদা বেড়ে যায়।

কিন্তু গত বছরে এসব পণ্যের দাম কম থাকলেও এবার রমজান মাসে দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। তাই লেবুর শরবতের স্বাদ ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মেটানো হচ্ছে। লেবু বিক্রেতা ওহাব উদ্দিন জানান, এই সময়ে লেবুর আমদানি কম থাকে। দেশি জাতের লেবু খোঁজ মেলেনা। কিছুটা হাইব্রিড লেবু পাওয়া যায়। তাই অধিক দামে কিনে প্রতি হালি লেবু ছোট-বড় সাইজ অনুযায়ী ২৫ টাকা থেকে ৫০ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও লাভ থাকছে খুব সমান্য। কৃষক আব্দুর লতিফ মিয়া বলেন, আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কয়েকটি হাইব্রিড জাতের লেবুর গাছ লাগিয়েছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন কম। তাই নিজের কিছুটা চাহিদা পূরণ করে অর্থের যোগান দিতে বাজারে লেবু বিক্রি করছি। পাইকারী মূল্যে এক হালি লেবু ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছি। গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংর¶ণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |